
উজিরপুর বরিশাল প্রতিনিধিঃ
ঘূর্নিঝড় রেমেলের ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেতের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র না খুলে উধাও হয়েছিলেন সরকারি ডব্লিউ বি ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শুধু তাই নয়, ১০ মহা বিপদ সংকেতের মধ্যে নিয়মনীতি না মেনে স্কুল খোলা রেখে শিক্ষার্থীদের টেষ্ট পরিক্ষা ও ক্লাস নিয়েছিলেন তিনি।
এমন অভিযোগ উঠেছে বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলা ও পৌর সদরের সরকারি ডব্লিউ বি ইউনিয়ন মডেল ইনিস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ্ আলম এর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৮ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত পানি উঠে বাড়ি ঘড় গরুর খামার সহ সকল স্থাপনা তলিয়ে যায়। কোনো উপায় না পেয়ে জিবন বাচাতে আশ্রায় কেন্দ্রে এসে দেখে দরজায় তালা মারা। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ্ আলম এর কাছে আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়ার জন্য একাধিক বার বলা হলেও তিনি খুলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন “মানুষ,ও গবাদি পশু রাখতে বিদ্যালয় তৈরী করা হয় নায়, আমি স্কুলের দরজা খুলবো না, দেখি এতে আমার কি হয়”। এর আগে নিয়মের তোয়াক্কা না করে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের মধ্যে সকালে স্কুল খোলা রেখে টেষ্ট পরিক্ষা ও ক্লাস নেন ওই প্রধান শিক্ষক।
অভিযোগ সুত্রে আরো জানা যায়, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার, সেচ্ছাচারিতা, শিক্ষার্থীদের মারধর, ঠিকমত স্কুলে না আসা,অনিয়ম দুর্নীতি সহ নানা অভিযোগ রয়েছে এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী মোঃ আউয়াল, মোঃ জাহাঙ্গীর,মোঃ ইব্রাহিম,মোঃ শফিক,রিপন, সহ একাধিক ব্যক্তি জানান ঝড়ের দিন আমরা প্রায় ২ শতাধিক লোক আমাদের গবাদিপশু মুল্যবান মালামাল নিয়ে স্কুলে আশ্রয় নিতে আসি। প্রধান শিক্ষক শাহ্ আলম আমাদের সাথে খুব খারাপ আচরন করেছেন,প্রান বাচাতে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে এসে তালা মারা দেখে তাকে অনেক অনুরোধ করেছি তিনি খুলেন নি পরে ৪-৫ ঘন্টা পানির মধ্যে থাকার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের হস্তক্ষেপে তালা খুলে আমাদের আশ্রয় দেয়া হয়। ইউএনও স্যার না আসলে আমাদের সকলকে বন্যার পানিতে ডুবে মরতে হত। আর ওই প্রধান শিক্ষক শাহে আলম এর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি জানান । এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ্ আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে গরুছাগল হাঁস-মুরগি রাখার স্থান নয় তাই বিদ্যালয়ের কক্ষ খুলিনাই।
সুত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমেলের প্রভাবে উপজেলার ৪২ টি আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করে তা খোলা রেখে আশ্রয় নেয়া মানুষের জন্য পর্যাপ্ত সুপেয় পানি,শুকনো খাবার, স্যালাইল, ও বিভিন্ন ঔষধ বিতরন করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
আশ্রয় কেন্দ্রে তালা মেরে উধাও প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আশ্রয় কেন্দ্র বন্ধ শুনে ঘটনা স্থলে দ্রুত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হয়ে তা খুলে দেই