
গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি \ দীর্ঘ বছর কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত বরিশালের গৌরনদী উপজেলার গ্রামীণ জনপদে অবশেষে উন্নয়নের ছোয়া লাগতে শুরু করেছে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন রক্ষণাবেক্ষন কর্মসূচী’র আওতায় এরইমধ্যে গ্রামীণ এলাকার অসংখ্য কাচা রাস্তায় ইট সলিং, মাটির রাস্তা সংস্কার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন হয়েছে। এতে গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার মান ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় কাবিখা,কাবিটা ও টিআর প্রকল্পে দুই কিস্তিতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। বরাদ্দকৃত টাকার মাধ্যমে মোট ৩১৪ টি প্রকল্প গ্রহন করে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগ প্রকল্পই মাটির রাস্তায় সলিংকরণ প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। প্রকল্প শতভাগ বাস্তবায়নের জন্য শুরুতেই ইউপি চেয়ারম্যান, প্রশাসক ও ইউপি সদস্যদের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়। যে কারনে পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে কাজের মান গুনগত ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদের সরদার জানান, সেই ছোট বেলা থেকেই আমরা গ্রামবাসী কাদা-মাটির রাস্তা দিয়ে কষ্ট করে চলাচল করে আসছি। সম্প্রতি ইউএনও-পিআইও’র সহায়তায় মাটির রাস্তাটি ইটের সলিং করা হয়েছে। যে কারনে আমরা গ্রামবাসী তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। খাঞ্জাপুর, বার্থী ও সরিকল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের একাধিক বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গ্রামে এমনও রাস্তা ছিলো। যা বর্ষার পানিতে হাটু সমান তলিয়ে থাকতো। ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারতোনা। যুগ যুগ ধরেও সংস্কার কিংবা পাকা হয়নি। সেসব রাস্তা সংস্কার করে ইটের সলিং করা হয়েছে। যার সুফল পাচ্ছে গ্রামীণ জনপদের বাসিন্দারা।
একাধিক ইউপি সদস্যরা জানিয়েছেন, বিগত পতিত সরকারের সময়ে কাজ না করেও প্রভাব দেখিয়ে অনেকে বিল উত্তোলণ করে নিতো। সেই সুযোগ এখন আর নেই। এখন কাজ না করে কিংবা কম কাজ করে বেশি বিল নেওয়ার সুযোগ নেই। পিআইও প্রকল্প সভাপতিদের মাধ্যমে শতভাগ কাজ আদায় করে নিচ্ছেন। যে কারনে পিআইও’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন জানান, প্রকল্প শুরুর আগেই কাজের গুনগত মান বজায় রাখার জন্য প্রকল্পের সভাপতিদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রতিটা প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। কাজের গুনগত মান ঠিক রাখতে গিয়ে অনেকের বিরাগ ভাজন হয়েছি। সেই সব ব্যক্তিরা এখণ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে তথ্য ছড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যাদেরকে সুবিধা দিতে পারি নাই। তারা এখন বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে কর্মস্থলে আমার সুনাম ক্ষুন্নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আরা মৌরি বলেন, অনেক প্রকল্প আমি নিজেই পরিদর্শন করেছি। প্রতিটা প্রকল্পই মানসম্পন্ন হয়েছে। যার সুফল পাচ্ছে গ্রামের বাসিন্দারা।