
তোফাজ্জল হোসেন সাকিব, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ দড়িবড়ভাগ ফুরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রারাসার ভূয়া কমিটি করে ওয়াকফকৃত জমি ইবতেদায়ী প্রতিষ্ঠানের নামে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, উপজেলা সোহাগী ইউনিয়নের দড়িবড়ভাগ ফুরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা 1962 সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত চলমান। সেই প্রতিষ্ঠানের নামে ওয়াকফকৃত জমি দড়ি বড়াভাগ মৌজার 552, 555, 1154 নং দাগ গুলো 5নং বি আর এস খতিয়ানে অন্তুর্ভূক্ত হয়। প্রতিষ্ঠানটি এলাকাবাসী ও কার্যকরী কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে। দড়িবড়ভাগ ফুরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের নামে স্থানীয় আজহারুল ইসলাম পিতা-মৃত আং মজিদ, (আনসার সদস্য) সভাপতি ও শফিকুল ইসলাম পিতা- মো: জজ মিয়া (অফিস সহকারী, বড়ভাগ উচ্চ বিদ্যালয়) সাধারণ সম্পাদক হয়ে 48,100/- টাকার বিনিময়ে ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কাজ করার অজুহাত দেখিয়ে শফিকুল ইসলাম 25 শতাংশ জমি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার নামে সাফ কবালা দলিল রেজিস্ট্রি করার জন্য গেলে দড়ি বড়ভাগ ফুরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের লিখিত অভিযোগের কারণে দলিলটি স্থগিত রাখা হয়। কিন্তু স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, দরিবৃ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নামে একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন পূর্বে অনুদানভূক্ত হয়। বর্তমান কমিটি ও প্রধান শিক্ষক এলাকাবাসীকে অবহিত করলে গণ্য মান্য ব্যক্তি বর্গ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। সরজমিন তদন্ত করে জানা যায় আজহারুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম দ্বয়ের স্ত্রীগণ ইবতেদায়ী মাদ্রাসার অনুদাভূক্ত শিক্ষিকা। তাই আজীবন দাতা সদস্য হওয়ার ঘৃণ্য খায়েশ পূরণের এ রকম জালিয়াতি আশ্রয় নেয়। আজহারুল ও শফিকুলের সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা রহমান বলেন, ওয়াকফকৃত জমি বোর্ডের অনুমতি ছাড়া হস্তান্তর করার নিয়ম নেই। বিষয়টি আমি দেখছি।