‎শ্রীমঙ্গলে বিকাশের ২ লাখ ২১ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার ২ জন।‎

দেশজুড়ে

বাবলু আচার্য্য মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ-‎মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে বিকাশের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আত্মসাৎকৃত ২ লাখ ২১ হাজার টাকা।‎‎জানা যায়, বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার (ডিএসও) খলিলুর রহমান আক্তার (৩২) ঋণগ্রস্ত ও আর্থিক সংকটে পড়েন। এ অবস্থায় বিকাশের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে তিনি তার সহকর্মী সাইদুল ইসলাম (৩৫) এর সাথে পরিকল্পনা করে একটি ছিনতাই নাটক সাজান।‎‎শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, গত ৪ জুন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন-ভোজপুর সড়কের তিতপুর এলাকার বিলাসেরপাড় ব্রিজের উপর ছিনতাইয়ের একটি ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নামে।‎‎ভুক্তভোগীর পরিচয়ে খলিলুর রহমান আক্তার অভিযোগ করেন, স্থানীয় আইয়ুব মার্কেট পরিদর্শন শেষে তিনি মোটরসাইকেলে ভোজপুর বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে তিতপুর এলাকায় অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি তার গতিরোধ করে ছুরি দিয়ে আঘাত করে এবং ব্যাগে থাকা আনুমানিক ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।‎‎ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ, এবং খলিলুরের বর্ণনায় একাধিক অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়। সন্দেহজনক এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ গভীর তদন্ত শুরু করে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।‎‎তদন্তে উঠে আসে, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত ছিনতাই নাটক। খলিলুর ও তার সহকর্মী সাইদুল মিলে ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, খলিলুর নিজেই মোটরসাইকেল থামান এবং সাইদুল তাকে হালকা আঘাত করে ব্যাগে থাকা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।‎‎পরবর্তীতে পুলিশ খলিলুরকে তার বাড়ি থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি আসল ঘটনা স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার কাছ থেকে আত্মসাৎ করা ২ লাখ ২১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।‎‎জেলা পুলিশ জানিয়েছে, বিকাশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হয়েও খলিলুর নিজের অবস্থান ব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয় নেন। কিন্তু পুলিশের তদন্তে দ্রুতই বেরিয়ে আসে প্রকৃত সত্য।‎‎এ বিষয়ে ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমরা শুরু থেকেই ঘটনাটিকে সন্দেহের চোখে দেখছিলাম। দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে আমরা সত্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। কোনো ধরনের অপরাধীই রেহাই পাবে না।”‎‎আটক খলিলুর রহমান আক্তার কালাপুর ইউনিয়নের সিরাজনগর গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহিদ এর পুত্র এবং সাইদুল ইসলাম একই এলাকার নুর মিয়া পুত্র।‎‎

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *