
মোহাম্মাদ তারিক উদ্দিন-সিনিয়র রিপোর্টার:- একজন নারী তার কাজের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ, প্রাণী অধিকার এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তার ফটোগ্রাফি ও ডকুমেন্টারি প্রকৃতির সৌন্দর্য ও সংকট সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। বলছি নুরুন্নাহার নাফিসা সম্পর্কে । যিনি সম্প্রতি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪,৩০০ ফিট উচ্চতায় হিমাচল প্রদেশ এর স্পিতি ভ্যালিতে সফলভাবে আরোহণ করে স্নো লেপার্ডের চমৎকার কিছু ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন । বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা নারী ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার, এবং এই ক্ষেত্রে পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচিত। ২০০৯ সালে তিনি প্রকৃতি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তাঁর যাত্রা শুরু করেন এবং ২০১১ সাল থেকে ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফিতে মনোনিবেশ করেন। প্রথমদিকে বোটানিক্যাল গার্ডেন, চিড়িয়াখানা, রমনা পার্ক ও আশপাশের এলাকায় পাখি, পোকামাকড় ও অন্যান্য প্রাণীর ছবি তোলার মাধ্যমে তাঁর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন। নারী হিসেবে এই পেশায় প্রবেশের সময় তিনি পারিবারিক ও সামাজিক বাধার সম্মুখীন হন। তবে নিজের জেদ ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে তিনি সেই বাধা অতিক্রম করেন। তিনি বলেন, “প্রতিবন্ধকতা কখনো সাফল্যের অন্তরায় হতে পারে না।” তিনি সাপের মতো বিপজ্জনক প্রাণীর ছবি তুলতে রাতের অন্ধকারে নিঃশব্দে চলাফেরা করেছেন এবং বিভিন্ন বনাঞ্চলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে দুর্লভ প্রাণীর ছবি ধারণ করেছেন।

নাফিসা তাঁর ক্যামেরা ও ভারী টেলিফটো লেন্স নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর, সাতছড়ি ফরেস্ট ও পদ্মার চরের মতো দুর্গম এলাকায় ভ্রমণ করেছেন। এই অভিযানে তিনি অনেক দুর্লভ ও অচেনা প্রাণীর ছবি তুলেছেন, যা বাংলাদেশের ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। তিনি ইতিমধ্যে একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাঁর কাজ নিয়ে ফিচার প্রকাশিত হয়েছে।
নুরুন্নাহার নাফিসা বাংলাদেশের নারী ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফিতে একটি অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কাজ ও সংগ্রাম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।