গৌরনদী প্রতিনিধি
সাংবাদিক ইউনিয়ন ও রিপোর্টার্স ইউনিটির জেলার উজিরপুর উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক দেশ রূপান্তর ও আজকের পরিবর্তন পত্রিকার উজিরপুর প্রতিনিধি পেশাদার সাংবাদিক শাকিল মাহমুদ বাচ্চুকে
বিএনপি নেতা কর্তৃক ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিস্ফোরক মামলায় আসামি করার প্রতিবাদে ও দ্রুত মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় তিন উপজেলার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে গৌরনদী প্রেসক্লাবের আয়োজনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশ্ববর্তী গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন চলাকালীন অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় গৌরনদী প্রেসক্লাবের আহবায়ক মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কো-আহবায়ক সিনিয়র সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির, খোন্দকার মনিরুজ্জামান মনির,
আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ডা. মাহবুবুর রহমান, মো. আসাদুজ্জামান রিপন, মো. হানিফ সরদার, খোকন আহম্মেদ হীরা,
সাংবাদিক এম আলম, বদরুজ্জামান খান সবুজ, কাজী আল-আমিন, ওমর আলী সানি, মণীষ চন্দ্র বিশ্বাস, এইচএম খায়রুল ইসলাম, বিএম বেলাল, মোহাম্মদ আলী বাবু, মোল্লা ফারুক হাসান,
হাসান মাহমুদ, আরিফিন রিয়াদ, এসএম মোশারফ হোসেন, মুহাম্মদ শাহীন, লিটন খান, রাজিব ইসলাম তারিম, ফারহান হোসেন নান্নু, মহসিন খান, মো. নাসির উদ্দিন,
সৈয়দ নকিবুল হক, পলাশ তালুকদার, কেএম সোহেব জুয়েল, তারেক মাহমুদ আলী, আবু সাঈদ খন্দকার, এএস মামুন, লোকমান হোসেন রাজু, সরদার মো. মনির, রাজিব খান, মো. মেহেদী হাসান, সৈয়দ মাজাহার ইসলাম রুবেল, বিনয় কৃষ্ণ শিয়ালীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় গৌরনদী, আগৈলঝাড়া ও উজিরপুর উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা অনতিবিলম্বে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিস্ফোরক মামলা থেকে সাংবাদিক শাকিল মাহমুদ বাচ্চুকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি প্রদর্শন করা হয়।
উল্লেখ্য, উজিরপুরের সোনারবাংলা নামক এলাকার একটি জঙ্গলের মধ্য থেকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি পরিত্যক্ত অবস্থায় তিনটি ককটেল ও দুইটি পেট্রোল বোমা সদৃশ্য বোতল উদ্ধার করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে বামরাইল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সবুজ হাওলাদার বাদি হয়ে ৭৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ছাত্রদল, ব্যবসায়ী, দিনমজুরসহ সাংবাদিক শাকিল মাহমুদ বাচ্চুকে আসামি করা হয়েছে।
অথচ মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের সম্পর্কে বাদি সবুজ হাওলাদার কিছুই জানেন না দাবি করে তার একটি অডিও ইতোমধ্যে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। যাতে বাদি সবুজ হাওলাদার বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র নেতাদের চাঁপে তিনি মামলার বাদি হয়েছেন।
