আগৈলঝাড়ায় যুবদলের দুই গ্রুপের আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত।

রাজনীতি

উজিরপুর (বরিশাল)প্রতিনিধিঃ কেন্দ্রীয় নেতাদের কারনে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিএনপি চার গ্রুপে বিভক্ত। কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রুপিং’র কারনে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পালন করা হয়েছে। এতে বিপদে পরেন বিএনপি ও যুবদলের তৃনমুল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। তৃনমুল নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করলেও তারা কথা বলতে সাহস পায়নি। এ কারনে অনেক নেতা-কর্মীরা উপজেলা সদরের দলীয় কর্মসূচীতে আসলেও তারা কোন র‌্যালী বা সভায় যায়নি। যুবদলের দুইগ্রুপে ভিন্নভিন্ন বক্তব্য পাওয়াগেছে।দলীয় ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক এমপি এম জহির উদ্দিন স্বপন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগের দায়িত্ব থাকা)আকন কুদ্দুসুর রহমান, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোহবান ও এ্যাড.কামরুল ইসলাম সজল গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পরে আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা। একারনে দলীয় সকল কর্মসূচী আলাদা ভাবে পালন করতে দেখাগেছো।একারনে গতকাল রোববার যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দুই গ্রুপে আলাদা আলাদা ভাবে পালন করতে দেখা গেছে। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছে বিএনপি’র চেয়ারপার্সণ খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক এমপি এম জহির উদ্দিন স্বপনের অসুসারি আগৈলঝাড়া উপজেলা যুবদলের সিনিয়ন যুগ্মআহবায়ক মো.হাবিব মুন্সী। তার সভাপতিত্বে উপজেলা সদরের কেজি স্কুলের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা শেষে একটি আনন্দ র‌্যালী হয়। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক সাইয়েদুল আলম খান সেন্টু, উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মোল্লা বশির আহমেদ পান্না, বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক হাফিজুর রহমান সিকদার, যুগ্ন-আহবায়ক শাহ মোহাম্মাদ বখতিয়ার, আবুল মোল্লা, সামচুল হক খোকনসহ প্রমুখ।অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগের দায়িত্ব থাকা)আকন কুদ্দুসুর রহমান, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান, এ্যাড. কামরুল ইসলাম সজল গ্রুপের অসুসারি উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শোভন রহমান মনিরের নেতৃত্বে দিবসটি পাল করা হয়। সকালে বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন লান্টু, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক ডাক্তার মো.মাহাবুবুল ইসলাম, আরিফ হোসেন ফিরোজ, জেলা যুবদলের সদস্য হেমায়েত তালুকদার, সালমান হাসান রিপন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম শিপন, উপজেলা শ্রমিকদলের আহবায়ক কামরুল ইসলাম জুয়েলসহ প্রমুখ। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধী নেতাকর্মীরা ক্ষোভের সাথে বলেন, আমরা বিএনপির দল করি। দলেরকারনে ১৫টি বছর মামলা হামলার শিকার হয়েছি। আজ কেন্দ্রীনেতাদের গ্রুপিং এর শিকার আমরা।
এব্যাপারে উপজেলা যুবদলের সিনিয়র আহবায়ক মো.হাবিব মুন্সী সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের সমম্বয়ের অভাবে আলাদা কর্মসূচী পালন করতে হচ্ছে।
এব্যাপারে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম শিপন বলেন, উপজেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি সভায় উপজেলা যুবদলের সিনিয়র আহবায়ক মো.হাবিব মুন্সীকে বলা হলেও সে সভায় আসেনি। সে তার ইচ্ছেমত কাজ করেছে। এটা ঠিক হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *