কমলগঞ্জে রেলের জমি দখল ও ভেজাল মসলার ব্যবসা করে কোটি টাকার মালিক

দেশজুড়ে

এম এ কাদির চৌধুরী ফারহান :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে বিতর্কিত অসাধু ব্যবসায়ী সাবেক কৃষিমন্ত্রীর ভাগিনা পরিচয়দানকারী মুহিত মিয়া নিঃস্ব অবস্থা থেকে বিপুল সম্পদ ও কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার এই বিপুল সম্পদ অর্থের উৎস নিয়ে স্থানীয় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের কনদু মিয়ার ছেলে মুহিত মিয়া। পূর্বে মুহিতের পিতা কনদু মিয়ার ৮শতক জমি ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। পিতা জীবিকার তাগিদে দিন মজুরের কাজ করে সংসার চালাতে হিমশিম খেতো, সে অল্প দিনের মধ্যে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়, তাকে নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তাদের উত্থান ও বিত্তশালী হওয়ার উৎস নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মুহিত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। সেই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে পেয়েযান“আলাদিনের চেরাগ”। এলাকার বির্তকিত ও অসাধু ব্যবসায়ী মন্ত্রী পরিবারের আর্শীবাদে হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য। মন্ত্রী পরিবারের ছায়ার কারনে তার অনৈতিক ব্যবসা কেউ বন্ধ করতে পারেনি। কেউ বন্ধ করার চেষ্টা করলে হামলা ও মামলার ভয়ে আর কেউ তার অবৈধ ব্যবসায় বাঁধা দিতে সাহস দেখাতো না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের ভাগিনা পরিচয় দিয়ে সিলেট-আখাউড়া রেলপথের শমশেরনগর রেলস্টেশনে পাশের লালগুদামের গোডাউনের বিপরীত দিকে রেলওয়ের বিপুল পরিমাণ জায়গা জোর পূর্বক দখল করে কয়েকটি দোকান কোটা তৈরী করেন। তৈরীকৃত দোকানকোটা ভাড়া দেন।

এছাড়া, শমশেরনগর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের শরিফ মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া মুহিতের ব্যবসায়িক পার্টনার, রাসেলের বাড়িতে তৈরী করেন মসলা ও ঘি তৈরীর “ কারখানা”। ঘরোয়া কারখানায় মুরগীর ফিড দিয়ে
হলুদ, মরিচ, ধনিয়া তৈরী করে বাজারজাত করেন। “বিসমিল্লাহ” মসলা মিলের মাধ্যমে মধু ব্র্যান্ড ১২ মসলা, মধু ব্র্যান্ড মিক্স মসলা, সশ, রুবি মসলা, হিরো বাটার, হিরো ঘি, হিরো ক্রিম, তীর ঘি, নুরজাহান ঘি, নুরজাহান মসলা বিভিন্ন কোম্পানির নামে প্রস্তুত করেন। তাদের তৈরীকৃত পণ্যের বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *