শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের অভিযানে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার-০১

আদালত

বাবলু আচার্য্য মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ-ভিকটিম মৃত আবুল খায়ের (২৮) পেশায় টমটম চালক। সে প্রবাসী হান্নান সিরাজী এর নিকট হইতে একটি মিনি টমটম (মিশুক) ভাড়া নিয়ে বিগত দেড় মাস যাবত চালাইয়া জীবিকা নির্বাহ করিত। প্রতিদিনের ন্যায় গত ১৪/১০/২০২৪ খ্রিঃ সকাল আনুমানিক ০৯.০০ ঘটিকায় মিনি টমটম নিয়া ভিকটিম বাসার ভিতর হইতে ভাড়ায় চালানোর জন্য এলাকার উদ্দেশ্যে বাহির হয়। ঐ দিন সে দুপুর বেলা খাবারের জন্য বাড়ীতে না আসিয়া গাড়ী ভাড়ায় চালাইতে থাকে। ভিকটিমের ভাই মোঃ আবুল বাশার রাত আনুমানিক ০৮.০০/০৮.৩০ ঘটিকায় ভিকটিমকে দক্ষিণ মুসলিমবাগ জাকিরের চা দোকানের সামনে গাড়ী নিয়ে দাড়ানো অবস্থায় দেখিতে পায়। ভিকটিম রাতে বাসায় না আসায় ভিকটিমের বোন ইয়াছমিন ভিকটিম আবুল খায়েরকে একাধিকবার ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পায়। গত ১৫/১০/২০২৪ খ্রিঃ সকাল আনুমানিক ০৯.০০ ঘটিকায় শ্রীমঙ্গল থানাধীন ০৮নং কালীঘাট ইউপির অন্তর্গত কালীঘাট চা বাগানের ভিতর ১২নম্বর সেকশনের কাঁচা রাস্তার পাশে চা বাগানের সামান্য ভিতর লাশ পাওয়ার সংবাদ পাইয়া ভিকটিমের স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন আসিয়া ভিকটিমের মৃতদেহ সনাক্ত করেন। অজ্ঞাতনামা আসামীগন ভিকটিমের হাতে, বুকে, মুখে, গলায় চাকু দিয়া একাধিক ঘাই মারিয়া রক্তাক্ত করে হত্যা করিয়া লাশ গুম করার জন্য উক্ত স্থানে ফেলে রাখে।ঘটনার পর পরই নৃশংস হত্যা কান্ডের সহিত জড়িত অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেফতারে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের একাধিক চৌকস টিম কাজ শুরু করে। মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের অভিভাবক মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয় ও সহকারী পুলিশ সুপার শ্রীমঙ্গল সার্কেল মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ শ্রীমঙ্গল থানা, মৌলভীবাজার জনাব মোঃ আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ)/তৌকির আহমেদ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামী রুবেল আহমেদ সাগর @ জসিম (৩০)‘কে সনাক্ত করিয়া তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য গত ১৫/১০/২০২৪ খ্রিঃ বিকাল ১৬.৩০ ঘটিকার সময় থানায় আনিয়া ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরবর্তীতে ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হইয়া থানায় মামলা দায়ের করিলে আসামীকে আরও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা স্বীকার করিয়া জানায় যে, সেসহ তার সঙ্গীয় আরও ৩/৪ জন আসামী মিলে গত ১৪/১০/২০২৪ খ্রিঃ রাত্র আনুমানিক ০৯.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিমকে অটোরিক্সাসহ কালিঘাট চা বাগানে নিয়া যায় এবং ভিকটিমের মিনি টমটম (মিশুক) নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করিলে ভিকটিম আসামীদের বাঁধা দিলে সকল আসামীগন ধারালো চাকু দিয়া ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করিতে থাকে। আসামীদের ধারালো চাকুর আঘাতে একপর্যায়ে রক্তক্ষরন হয়ে ভিকটিম মৃত্যু বরণ করিলে আসামীগন ভিকটিমের অটোরিক্সা নিয়া চলিয়া যায়। আসামীগন ভিকটিমের পরিচিত হওয়ায় এবং অটোরিক্সা ছিনতাই করার সময় ভিকটিম আসামীদের চিনতে পারায় আসামীগন ভিকটিমকে হত্যা করিয়াছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *