বরিশালে অধ্যক্ষ ও প্রধানশিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বি

Uncategorized

গৌরনদী প্রতিনিধি (বরিশাল)গৌরনদী উপজেলার শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির এবং খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাকাই নিরাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক অখিল চন্দ্র দাসের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।রোববার সকাল সাড়ে দশটার থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে ২২টি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। দুপুরে কলেজ অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী সিয়াম মোল্লা, জুবায়ের জীম, উত্তম হালদার, আবির হোসেন, জাবের আহম্মেদসহ অন্যান্যরা।বক্তারা অধ্যক্ষকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগের দাবি করেন। অন্যথায় তারা কঠিন আন্দোলনের হুমকি প্রদর্শন করেন। অভিযোগের ব্যাপারে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির বলেন, গত ২৭ আগস্ট থেকে কতিপয় শিক্ষার্থী আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। অভিযোগের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। তিনি আরও বলেন, সারাদেশের শিক্ষক সমাজের ন্যায় আমিও আজ বৈষম্যের শিকার।অপরদিকে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে প্লাকার্ড হাতে নিয়ে প্রধানশিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে রোববার সকাল সাড়ে দশটার দিকে বিক্ষোভ করেছেন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাকাই নিরাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের।স্কুল ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরুর পর স্থানীয় বিএনপি নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের নিবৃত করেন। আন্দোলণরত দশম শ্রেনীর একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, প্রধানশিক্ষক অখিল চন্দ্র দাস স্কুলকে অনিয়ম ও দুর্নীতির আঁতুর ঘরে পরিণত করে রেখেছে। এতোদিন তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। তাই প্রধানশিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে তারা এক দফার আন্দোলন শুরু করেছ।স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, স্কুলে জনবল নিয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্নস্তরে দুর্নীতির সাথে জড়িত প্রধানশিক্ষক অখিল চন্দ্র দাস। এতোদিন সে (প্রধানশিক্ষক) আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে আঁতাত করে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন।অভিযোগের বিষয়ে প্রধানশিক্ষক অখিল চন্দ্র দাসের ব্যবহৃত (০১৭৯৯-৪৪৪৮৮৮) নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিফ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল জলিল বলেন, আন্দোলনের বিষয়টি শুনেছি। প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলোর সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *