সেক্টর কমান্ডার মেজর এম.এ জলিলের সকল সম্মান ও সম্মাননার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

Uncategorized

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে সাবেক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর এম এ জলিল এর সকল সম্মান ও সম্মাননার দাবিতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩১ আগস্ট শনিবার বেলা ১০ টায় উজিরপুর উপজেলা ও পৌর প্রেস ক্লাবে সাবেক উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ বাদল এর সভাপতিত্বে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জাকারিয়া এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্রাম হোসেন, যুগ্ম আহব্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন বাচ্চু ফকির, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী গোলাম মোস্তফা, সাবেক জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোঃ গোলাম সরোয়ার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়নাল হক, উজিরপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহফুজুর রহমান মাসুম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ জুনায়েদ খান সিয়াম, উজিরপুর উপজেলা ও পৌর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাসির শরীফ, প্রমুখ।

এসময় মেজর এমএ জলিল এর স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ বাদল বলেন,মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মহান দেশ প্রেমিক মরহুম মেজর এম এ জলিল এর সকল সম্মান ও সম্মাননার জন্য আমাদের বিভিন্ন দাবী রয়েছে। এ সমায় মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠনের পক্ষে তিনি বলেন এ মহান মুক্তিযোদ্ধার সম্মানে আমাদের দাবী হল, মরহুম মেজর এম এ জলিল কে মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী ৯ নং সেক্টর কমান্ডার হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ উত্তম খেতাব মরহুম মেজর এম এ জলিল কে প্রদান করতে হবে।প্রস্তাবিক উজিরপুর-সাতলা সড়ক মরহুম মেজর এমএ জলিল এর নামে নামকরণ করতে হবে। লেবুখালী ক্যান্টনমেন্ট (পটুয়াখালী) এর নাম মরহুম মেজর এম এ জলিল এর নামে নামকরন করতে হবে। বরিশাল বিমান বন্দর এর নাম মরহুম মেজর এম এ জলিল এর নামে নামকরন করতে হবে। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।বক্তারা বলেন মেজর এম এ জলিল তিনি উজিরপুর ও সারাদেশের সম্পদ, তাই রাজনৈতিক কারণে তাকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃতি ইতিহাসকে বাদ দিয়ে জাতিকে কলঙ্কিত করেছে। তাই রাষ্ট্র থেকে প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। একই সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে যে সকল ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে মুক্তিযুদ্ধের সুবিধা নিচ্ছে তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
দেশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান না হয়ে বিভিন্ন কোটায় সরকারি বেসরকারি চাকরি করছেন তাদেরকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একই সাথে একটি নিরপেক্ষ শক্তিশালী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস সংরক্ষণ কমিটি করে তা প্রকাশ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *