উজিরপুরে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় আওয়ামী লীগনেতা শাহীন চেয়ারম্যানসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা।

Uncategorized

উজিরপুর বরিশাল প্রতিবেদকঃ
বরিশালে উজিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সহ দুজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলায় সাতলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার সহ ২৬জনকে আসামি করা হয়েছে। ইতি পূর্বে নিহত ইদ্রিস হাওলাদার বাদী হয়ে ভুমিদস্যু, চাদাবাজী, সহ একাধিক মামলার দায়ের করলে তার ফলে চেয়ারম্যান শাহিন জেল খাটেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৬ আগষ্ট উজিরপুর মডেল থানায় নিহত ইদ্রিস হাওলাদারের স্ত্রী রেশমা বেগম বাদী হয়ে সাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহীন হাওলাদার, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদ হাওলাদার সহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য গত ২৪ আগস্ট রাত ১১ টার দিকে ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলাদার (৪০) ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদার (২৭)এর মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি পশ্চিম সাতলা ২নং ওয়ার্ডে ফিরছিলেন পথিমধ্যে সাতলা বড় ব্রিজের পশ্চিম পাড়ের ঢালে গেলে একদল অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা তাদের গতিরোধকরে ব্যবসায়ী ইদ্রিসকে কুপিয়ে ও পায়ের রগ বর্তন করে দেয় এ সময় মোটরসাইকেল চালক তার চাচাতো ভাই সাগর বাধা দিলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে আগৈলঝারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে রাত ১.৪৫ মিনিটে ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলদার মৃত্যুবরণ করেন তার কয়েক ঘন্টা পরে সাগরও মৃত্যুবরণ করেন। নিহত ইদ্রিস হাওলাদার পশ্চিম সাতলা গ্রামের সোহরাব হাওলাদারের পুত্র ও সাগর হাওলাদার একই বাড়ির শাহাদাত হাওলাদারের পুত্র। এ বিষয় নিহতদের চাচা সাবেক ইউপি সদস্য মোনাফছের হাওলাদার সাংবাদিকদেরকে অভিযোগ করে বলেন সাতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই যুবলীগ নেতা আসাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে ও নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তিনি সাংবাদিকদের কে আরো জানান,গত ১৭ মার্চ গভীর রাতে ইদ্রিস হাওলাদারের মালিকানাধীন মাছের ঘের, মুরগির খামার, পানি শেচ পাম্পে অগ্নি সংযোগ এর ঘটনায় ইদ্রিস হাওলাদার ও সাতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহীন হাওলদারের ও তার চাচাতো ভাই আসাদ হাওলাদার সহ ৪০ -৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় শাহীন চেয়ারম্যান কে জেল খাটতে হয়। তার প্রতিশোধ নিতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাফর আহমেদ জানান, নিহত ইদ্রিস হাওলাদার এর সাথে একটি মাছের ঘের নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এই জোড়া হত্যাকান্ড সংঘটিত হতে পারে বলে প্রাথমিক অবস্থায় ধারনা করা যাচ্ছে। নিহত ইদ্রিস হাওলাদারের স্ত্রী বাদী হয়ে ২৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন, আমরা কবির বিশ্বাস নামে একজনকে গ্রেফতার করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *