“খুব শিগগির আমাদের পরীক্ষা নেই। একটা ছোট পরীক্ষা আছে, সেটাও বন্ধ করতে বলা হয়েছে,” বলেছেন উপাচার্য।
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবির আন্দোলনে সংঘাত, সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কলেজ ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।তবে এই সময়ে পরীক্ষা বন্ধ থাকবে কিনা, তা জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান বলেন, “আমরা আলোচনা করে, চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখানে পরীক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়নি। কারণ, খুব শিগগির আমাদের পরীক্ষা নেই। একটা ছোট পরীক্ষা আছে, সেটাও বন্ধ করতে বলা হয়েছে।”
অবশ্য ছোট পরীক্ষা বলতে তিনি কোন পরীক্ষাকে বুঝিয়েছেন, তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপরতা দেখায় নিরাপত্তা বাহিনীও। ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয় বিভিন্ন স্থানে।কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারা দেশে অবরোধ ও বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। এদিন আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে শিক্ষার্থী, পথচারীসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষ ও সংঘাতের মধ্যেই মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার ঘোষণা আসতে থাকে। সবশেষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাতে যুক্ত হল।