উজিরপুর হস্তিশুন্ড – মোড়াকাঠি হাইস্কুলকে কলেজে রূপান্তরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে একটি কুচক্রী মহল

শিক্ষা

বরিশাল প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে বামরাইল ইউনিয়নের হস্তিশুন্ড গ্রামে স্থাপিত ঐতিহ্যবাহী হস্তিশুন্ড – মোড়াকাঠি ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয় যাতে কলেজে রূপান্তরিত হতে না পারে তারই ষড়যন্ত্রে নেমেছে একটি কুচক্রী মহল। স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপীঠ থেকে কয়েক ডজন ডাক্তারসহ খ্যাতনামা ব্যক্তিবর্গের এই বিদ্যালয় থেকে পাশ করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সংসদ সদস্য বরিশাল ২ আসনের সংসদ সদস্যের সহায়তায় বিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গ কলেজে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এমন সময় একটি কুচক্রী মহল শুধুমাত্র তাদের ব্যক্তি স্বার্থচরিতার্থে বিদ্যালয় নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রসহ মিথ্যাচার করছেন। এমন কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হওয়া সত্বেও একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী কুচক্রীমহল প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক এর বিরুদ্ধে পরীক্ষার অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ এনে বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ ধরনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, ছাত্র অভিভাবক, শিক্ষকসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা। বিদ্যালয়ের প্রাধন শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান,
হস্তিশুন্ড মোড়াকাঠি ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি ঐতিহ্যবাহী মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৪৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আমি ২০২২ ইং সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুনামের সাথে আছি। এই স্কুলটি ১৯৪৮ সালে থেকে দশটি গ্রামের মধ্যে উন্নত মানের শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দিতে কর্তৃপক্ষ এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকেই এই স্কুলের একটি সুনাম রয়েছে এবং বর্তমানে উজিরপুর উপজেলার মধ্যে বিদ্যালয়টি সুনামের সাথে ভালো ফলাফল করে আসছে। বর্তমানে এই স্কুলে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুলটি কলেজে রূপান্তর করার লক্ষে বর্তামন উজিরপুর- বানারীপাড়া-২ এমপি মহাদয় জনাব রাশেদ খান মেনন সুপারিশ করেছেন যার কার্যক্রম চলমান।

অপপ্রচারের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, বিশেষ কিছু লোক তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি হাসিল করার জন্য, বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করতে ফেসবুক ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত কোন ফি আদায় করা হয়নি,বিদ্যালয়ে গরিব মেধাবি শিক্ষার্থীদের ফ্রি পড়ানো হয়,এ ছাড়াও
বিদ্যালয়ে টাকার জন্য কারো পরিক্ষা কখনও বন্ধ করা হয়নি। বিদ্যালয়ে যে সকল শিক্ষার্থী ফ্রি পরাশুনা করে সে বিষয়েতো কখনও নিউজ হতে দেখি নাই।প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরে কোন নিয়োগে হয় নাই তাহলে নিয়োগ বাণিজ্য হলো কিভাবে?

বিদ্যালয়ের দশম শ্রনীর শিক্ষার্থী শাকিল শিকদার বলেন টেষ্ট পরিক্ষায় আমি এক টাকাও দেইনি তবু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমার পরিবারের কথা চিন্তা করে বিনা টাকায় পরিক্ষা দিতে দিয়েছে।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে টাকা ব্যাংকে জমা নেওয়া হচ্ছে যার মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের লেনদেনের সচ্ছতা থাকে – প্রতিষ্ঠার হিসাব নিকাশ সহজ ও দ্রুত হয়। যেখানে সরকার গ্রামীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শহরে করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎসাহী করা হচ্ছে- সেখানে ব্যাংকে টাকা জমা হলে অন্যদের দের সমস্যা হচ্ছে কি?

মাসুদ আলোম (অভিভাবক) বলেন এবারে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে, এতে করে আমার টাকা আমি সঠিক ভাবে প্রতিষ্ঠানে প্রদান করছি।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ মামুন আর রশীদ তালুকদার
বলেন,বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মনগড়া অপপ্রচার করে কেহ এই স্কুল কে কলেজে রূপান্তরিত করা বন্ধ করতে পারবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *