
সুমন আচার্য্য মৌলভীবাজার সদর প্রতিনিধিঃ কৃতকার্যদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় বিভাগীয় নিয়োগ কমিটি ৯৩ জনকে মনোনীত করেন। এই নিয়োগ নিয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা করছেন অনিয়ম ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ।
এদিকে শ্রীমঙ্গল সিন্দুর খাঁন ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা রতি কান্ত রায় এর নাতনি পাপিয়া রায় বলেন, আমি স্বাস্থ্য সহকারী পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পরীক্ষা দিলেও মুক্তিযোদ্ধা কোটার কোন সুবিধা আমাকে দেওয়া হয়নি। অত্র ইউনিয়নে আমিই একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থী ছিলাম। যার ফলে আমার চাকুরী হয়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট অনিয়ম হয়েছে।
এব্যাপারে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা: চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শদ এর নিকট নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়োগ প্রাপ্ত চাকুরী প্রাপ্তদের পুলিশ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন আপডেট দেওয়া সম্ভব নয়। এছাড়াও তথ্য দিতে গেলে সিলেট বিভাগীয় পরিচালক( স্বাস্থ্য) ডা: মো: আনিসুর রহমান এর অনুমতি নিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কতটি পদ ছিল ও এর আওতায় কতজন চাকুরী পেয়েছেন প্রশ্ন করলে তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২৫ জন ছিল। কিন্তু এই কোটায় ৮ জনকে পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা: মো: আনিসুর রহমান এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে, তিনি বলেন এখন তথ্য দেওয়া যাবেনা। নিযোগ প্রক্রিয়া শেষ হলে দেওয়া হবে। আপনার নাম ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার ম্যাসেজ করে দেন। পরে কথা বলবো। নিয়োগ প্রক্রিয়ার চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা পরও আপনারা কেনও তথ্য দিতে পারছেন না,এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি কোন সঠিক উত্তর না দিয়ে ফোন কল কেটে দেন।