
উজিরপুর বরিশাল প্রতিবেদ ঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের, ভিক্টোরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত জমি স্থানীয় ভূমিদস্যদের ইন্ধনে কোমল মতি স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে দুইটি হত দরিদ্র পরিবারকে দুটি বসত ঘর-বাড়ি ভাংচুর করে ও মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায় ১৯ মে রোববার সকাল দশটা শোলক ইউনিয়নের শোলক গ্রামের মুখার্জি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানান ১৮৯৯ সালে কলকাতার মহারানী ভিক্টোরিয়ার নাম অনুসারে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয়ের মূল সম্পত্তির মালিক ছিল স্থানীয় জমিদার মনোরঞ্জন মুখার্জীর। তিনি দীর্ঘ ৮০ বছর পূর্বে মৃত আসমত আলী হাওলাদারকে ৪০ শতাংশ জমি ভোগ দখল বুঝিয়ে দেন এবং সেখানে তার পূর্বপুরুষ থেকে ওয়ারিশ সূত্রে বসবাস করেন।
বর্তমানে ওই জমির মালিক স্কুল দাবি করে ভূমি দস্যু নামে খ্যাত সবেক ইউপি সদস্য আফজাল মেম্বারের ভাই আসাদুরকে লীজ দেয়।এরপর থেকে তাদেরকে বিভিন্ন সময় উচ্ছেদের পায় তারা চালায়।
হঠাৎ করে স্থানীয় ভূমিদস্যু সাবেক ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন ও তার ভাই আসাদুর রহমান স্কুলের জমি লীজ নিয়ে ব্যক্তি শত্রুতার জের ধরে, সিদ্দিক হাওলাদারের স্ত্রী ফিরোজা বেগম ও মৃত কেয়ামত আলীর খান এর স্ত্রী উজিরন বেগম ০৮ সদস্যের দুটি বসত ঘর ভেঙে সম্পূর্ণ গুড়ি দিয়ে মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ সময় হামলায় চারজন আহত হন আহতরা হলেন, ফিরোজা বেগম (৮০), উজিরন বেগম (৬৫), সিদ্দিক হাওলাদার (৭০), ইমন হাওলাদার (১৮)।
স্থানীয় নাজমুল নাহার বেগম জানান, এ পরিবার দুটি বিগত আশি বছর পূর্ব থেকে এখানে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু বর্তমান লীজ গৃহিতা আসাদুর রহমান স্কুল থেকে লিজ নিয়ে স্কুলের সহায়তায় এই উচ্ছেদ কার্যক্রম করিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ফিরোজা বেগম জানান আমার প্রবাসী পুত্র নাসিম খানের স্ত্রী দুলুফা বেগমকে ভূমিদস্যু আসাদুর ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন। এ সময় প্রায় ১১ লক্ষ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছিলাম তার প্রতিশোধ নিতে এ ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। ভাঙচুর ও লুটপাট এর ঘটনার বিষয় বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হোসেন কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, উচ্ছেদ কৃত জমির মালিক বিদ্যালয়, ছাত্র জনতা মিলে জমি দখল নিয়েছে। এ জমি থেকে তাদেরকে অনেক পূর্ব থেকেই নিজ দায়িত্বে ঘর দরজা সরিয়ে নেওয়ার নোটিশ করা সত্ত্বেও তারা কোন কর্ণপাত করেননি এমনকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেও দখলদাররা কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। বিদ্যালয় সভাপতি মোঃ
জসিম উদ্দিন টিপু জানান, আমরা কোন লুটপাট করিনি।স্কুলের জমির দখলদারদের উপরে বিরক্ত হয়ে, ছাত্র অভিভাবক মিলে এ উচ্ছেদ কার্যক্রম চালায়। এ বিষয়ে উজিরপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান সোহাগ জানান, বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মিলে সাবেক ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন ও তার ভাই আসাদুর এর নেতৃত্বে বেআইনিভাবে বাড়িঘর ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।